মোটিভেশনাল কিছু কথা
আমি জীবনে মোট তিনটি বিসিএস দিয়েছি। কোন প্রিপারেশন এবং
বইপত্র
ছাড়া
একটা
দিয়েছিলাম
সেটাতে
রিটেনে
পুওর
মার্কস
থাকায়
ভাইভাতে
পাস
করলেও
ক্যাডার
আসেনি। দ্বিতীয়বার বইপত্র
কিনে
বেশ
পড়াশোনা
করে
প্রিলিমিনারিতেই ফেল করে বসলাম। তৃতীয়বার ভাবলাম
এবার
পেতেই
হবে
তাই
পড়াশোনাটা
সেভাবেই
করেছিলাম। পরিশ্রমের ফল
আর
ভাগ্য
মিলে
আমি
৩৩
তম
পুলিশ
ক্যাডারে
মেধাতালিকায়
৫৩
তম
হলাম।
আমি কোন কোচিং করিনি,গ্রুপ ডিসকাশন এরও সুযোগ ছিলনা,।যাই হোক আমি আমার নিজের কিছু অবজারভেশন শেয়ার করতে চাই যদি কারো হেল্প করতে পারি এই প্রত্যাশায়।
১। বিসিএস পরীক্ষায় বেজ স্ট্রং হওয়াটা খুব জরুরী।গ্রামার,আই কিউ কিংবা জেনারেল নলেজ একদিনে অর্জনের নয়। তাই অল্প কিছুদিনের প্রিপারেশনে ভালো ফল আশা করা বোকামি। সবচেয়ে ভালো দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতির প্ল্যান করা। চাকুরীর জন্য আবেদনের অন্তত ১ বছর আগ থেকে মানসিক প্রস্তুতি নেয়া ভাল।
২।যে সাবজেক্ট কঠিন মনে হবে পড়ার শুরুতেই সেটাতে হাত দিন। তখন ব্রেন সহজে গ্রহন করে। এরপর পড়তে পড়তে বিরক্ত হলে পছন্দের বিষয় পড়ুন। আমি শুরু করতাম আন্তর্জাতিক বিষয় দিয়ে এরপর টায়ার্ড হলে মিউজিক দিয়ে অংক করতাম,বিজ্ঞান পড়তাম।লেজার টাইমকে এভাবেই রিডিং টাইমে পরিনত করা যায়।
৩।নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। টাকা পয়সা ছাড়া চাকরী হয়না,মামা খালু না থাকলে ভাইভাতে মার্ক পাওয়া যায়না এসব ভিত্তিহীন কথায় মনোবল হারানো বোকামি।
৪।পরীক্ষার আগ দিয়ে নিজেকে একটু আইসোলেটেড রাখুন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুলো মনোযোগ অনেকাংশে নষ্ট করতে সক্ষম। আমি পরীক্ষার আগ দিয়ে ডিএকটিভেটেড থাকতাম,লাভই হয়েছে!
৫।ভাইভাতে ভালো করার জন্য আগে থেকেই ইংরেজিতে কথা বলার ফ্লুয়েন্সি অর্জন এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ভালো ধারনা রাখা দারুন ভাবে সাহায্য করে।
৬। প্রচুর পরিশ্রম করবেন তবে অবশ্যই সিস্টেমেটিক ভাবে। আর সর্বোপরি নিজের উপর বিশ্বাসের চেয়ে বড় শক্তি আর নেই।
শুভকামনা
//
Faria Afroz Dyuti
ASP ( 33rd BCS)
আমি কোন কোচিং করিনি,গ্রুপ ডিসকাশন এরও সুযোগ ছিলনা,।যাই হোক আমি আমার নিজের কিছু অবজারভেশন শেয়ার করতে চাই যদি কারো হেল্প করতে পারি এই প্রত্যাশায়।
১। বিসিএস পরীক্ষায় বেজ স্ট্রং হওয়াটা খুব জরুরী।গ্রামার,আই কিউ কিংবা জেনারেল নলেজ একদিনে অর্জনের নয়। তাই অল্প কিছুদিনের প্রিপারেশনে ভালো ফল আশা করা বোকামি। সবচেয়ে ভালো দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতির প্ল্যান করা। চাকুরীর জন্য আবেদনের অন্তত ১ বছর আগ থেকে মানসিক প্রস্তুতি নেয়া ভাল।
২।যে সাবজেক্ট কঠিন মনে হবে পড়ার শুরুতেই সেটাতে হাত দিন। তখন ব্রেন সহজে গ্রহন করে। এরপর পড়তে পড়তে বিরক্ত হলে পছন্দের বিষয় পড়ুন। আমি শুরু করতাম আন্তর্জাতিক বিষয় দিয়ে এরপর টায়ার্ড হলে মিউজিক দিয়ে অংক করতাম,বিজ্ঞান পড়তাম।লেজার টাইমকে এভাবেই রিডিং টাইমে পরিনত করা যায়।
৩।নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। টাকা পয়সা ছাড়া চাকরী হয়না,মামা খালু না থাকলে ভাইভাতে মার্ক পাওয়া যায়না এসব ভিত্তিহীন কথায় মনোবল হারানো বোকামি।
৪।পরীক্ষার আগ দিয়ে নিজেকে একটু আইসোলেটেড রাখুন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুলো মনোযোগ অনেকাংশে নষ্ট করতে সক্ষম। আমি পরীক্ষার আগ দিয়ে ডিএকটিভেটেড থাকতাম,লাভই হয়েছে!
৫।ভাইভাতে ভালো করার জন্য আগে থেকেই ইংরেজিতে কথা বলার ফ্লুয়েন্সি অর্জন এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ভালো ধারনা রাখা দারুন ভাবে সাহায্য করে।
৬। প্রচুর পরিশ্রম করবেন তবে অবশ্যই সিস্টেমেটিক ভাবে। আর সর্বোপরি নিজের উপর বিশ্বাসের চেয়ে বড় শক্তি আর নেই।
শুভকামনা
//
Faria Afroz Dyuti
ASP ( 33rd BCS)
No comments:
Post a Comment