করােনা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর বিধিনিষেধ
আবার বন্ধ স্কুল-কলেজ
ঢাবিসহ অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে
সশরীরে ক্লাস বন্ধ,
স্থগিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা
দেশে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করােনা। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। করােনা এ | ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ১১ দফার পর এবার আরও কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। খােলার চার মাসের মাথায় আবার বন্ধ। ঘােষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজসহ সমপর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সুযােগ। আছে, সেখানে তা চলবে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশিরভাগ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস সশরীরে না হলেও, চলবে অনলাইনে। আর স্থগিত করা হয়েছে | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা। এছাড়া কোনাে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে একশ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যােগ দেবেন, তাদের অবশ্যই | টিকা সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআরে কোভিড টেস্টের রিপাের্ট | দেখতে হবে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত ছয় দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এদিকে করােনার নতুন ঢেউ সামাল দিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। করােনাভাইরাসের সংক্রমণ কমানাের জন্য সরকার নতুন করে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে বলে |জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার স্বাস্থ্য | অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত | নেওয়া হবে। স্কুল-কলেজ বন্ধ প্রসঙ্গে বিকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, হঠাৎ করে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ দেখা | দিয়েছে। এটা আগে ছিল না। এসব আমলে নিতে হয়েছে। মাঠের চিত্র নিয়ে শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী। | স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সংক্রমণের হার কমে। | গেলে আবারাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খােলা হবে। তবে | বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যেখানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া
সম্ভব সেখানে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা থাকবে। এছাড়া।
| অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমও থাকবে।
সংক্রমনের নতুন ধরন ওমিক্রনের নিয়ন্ত্রন ঠেকাতে | শুরু থেকে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর আগে | জারি করা হয় ১১ দফা বিধিনিষেধ, যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার ঘােষণা দেওয়া হয়। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস ও ট্রেন চালানাের পাশাপাশি উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় সে সময়। রেস্তোরায় বসে খাওয়ার ক্ষেত্রে কোভিড টিকার সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি টিকা সনদ ছাড়া ১২ বছরের বেশি বয়সি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু সরকারের এ বিধিনিষেধ পুরােপুরি কার্যকর হয়নি। ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী বহন করলেও বাস ও লঞ্চ যত সিট তত যাত্রী নিয়েই চলাচল করছে। এমনকি অনেক বাস দাঁড়িয়েও যাত্রী নিচ্ছে। শহরের অলিগলি কাঁচাবাজর সর্বত্র মানুষের | ভিড়। বেশিরভাগই মুখে নেই মাস্ক। এমন | পরিস্থিতিতে সরকার করােনা নিয়ন্ত্রণে স্কুল- কলেজ। বন্ধসহ নতুন নির্দেশনা জারি করে। এদিকে স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘােষণা দিলেও খােলা রয়েছে পর্যটনকেন্দ্র, চলছে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনাে জনসমাগমে যেতে হলে টিকা সনদ নিয়ে যেতে হবে। এটা সব জায়গায় প্রযােজ্য হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েকদিনে করােনার এ উধর্বগতি অব্যাহত থাকবে। শুধু বিধিনিষেধ আরােপ করলেই হবে না তা বাস্তাবায়নে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানানাের পাশাপাশি বাড়াতে হবে টিকাদান কর্মসূচিও। না হলে সামনের দিনগুলােতে আরও
করা বিধিনিষেধ কার্যকরে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। সবাইকে মাস্ক পরাতে উদ্বুদ্ধ করাসহ প্রয়ােজনে জরিমানা আদায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়ানাে হবে। বিধিনিষেধের কার্যকরের পাশাপাশি করােনা নিয়ন্ত্রণে টিকাদান কর্মসূচি বাড়ানাের পরিকল্পনা রয়েছে। অফিস-আদালতে
অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করানাের নােটিশ | শিগগিরই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি করােনার উর্ধ্বগতি মােকাবিলায় প্রস্তুত করা হচ্ছে হাসপাতাল। করােনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় অনেক হাসপাতালে চিকিৎসক কমানাের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা সীমিত করা হয়। করােনার উধ্বগতিতে ওইসব হাসপাতালে ফের বাড়ানাে হচ্ছে চিকিৎসকসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্বাস্থ্যকর্মী ও অক্সিজেন সরবরাহ। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কয়েকদিনে বেড়েছে ভর্তি রােগী। দুই সপ্তাহ আগে যেখানে ভর্তি ছিলেন মাত্র ২০ জন। এখন সেই সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এ চিত্র রাজধানীর অন্যান্য হাসপাতালেও। এ প্রসঙ্গে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হুদা খান বলেন, ডাক্তারের সংখ্যা ছিল ২০০ জন। করােনা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত ১০০ জন চিকিৎসক, প্রায় ১০০ জন নার্স এবং অতিরিক্ত ৭৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে সংযুক্ত করা হয়েছে। যদি করােনা সংক্রমণ ও রােগী বেড়েও যায়, আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আছে। দেশে করােনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। ১ জানুয়ারি করােনা শনাক্ত হয়েছিল মাত্র ৩৭০ জন। বৃহস্পতিবার
তা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। গতকাল সংক্রমণ আরও | বেড়ে দাড়িয়েছে ১১ হাজার ৪৩৪। শনাক্তের সঙ্গে
সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। নতুন বছরের শুরুর
| দিন শনাক্তের হার ছিল প্রায় আড়াই শতাংশ। তিন সপ্তাহে তা বেড়ে হয়েছে ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এদিকে করােনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা করাতে নানা ভােগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সংক্রমণের উর্ধ্বগতির কারণে সরকারি হাসপাতালে ভিড় করছেন তারা। কিন্তু প্রয়ােজনের তুলনায় অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অনেকেই পরীক্ষা করাতে পারছেন না। ভােগান্তি এড়াতে অনেকে দ্বারস্থ হচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে পরীক্ষার ফি বেশি হওয়ায় গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকের পক্ষে তা বহন করা কষ্টসাধ্য। রবিউল নামে এক গণমাধ্যমকর্মী গত কয়েকদিন ধরে করােনা | উপসর্গ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও
বেশি হওয়ায় গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকের পক্ষে তা বহন করা কষ্টসাধ্য। রবিউল নামে এক গণমাধ্যমকর্মী গত কয়েকদিন ধরে করােনা উপসর্গ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হন। রবিউল যুগান্তরকে বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে কয়েকদিন ঘােরাঘুরি করে পরীক্ষা করাতে পারিনি। পরে বাধ্য হয়ে বেসরকারি একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়েছি। সেখান আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ফি নিয়েছে ৩ হাজার টাকা, যা অনেকের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। | প্রায় দেড় বছর বন্ধ বন্ধ থাকার পর সেপ্টেম্বরে খােলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু করােনা নতুন ঢেউয়ে মাত্র। চার মাসের মাথায় ফের বন্ধ হলাে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। | শুক্রবার ১৬ দিনের জন্য এই ছুটি ঘােষণা করা হয়। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করােনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা | প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘােষণা করা হয়। তখনাে প্রথমে দুই
সপ্তাহের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করােনার
| ডামাডােলে ২৩ দফায় সেই দুটি বাড়াতে হয়।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের জীবনে নেমে আসে।
| বিপর্যয়। তারা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হন। পুরাে | শিক্ষাব্যবস্থা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এরপর সংক্রমণ কমে | আসায় ১২ সেপ্টেম্বর দ্বারােন্মােচন হয়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। ঘুরে দাঁড়ানাের চেষ্টা করে | শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ফের বন্ধ হওয়ায় | আবারাে অনিশ্চয়তা পড়ে গেলেন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ডে (এনসিটিবি) নতুন শিক্ষাক্রমের প্রস্তুতি সংক্রান্ত | বৈঠকে যােগদান শেষে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী ডা.
দীপু মনি বলেন, স্কুল-কলেজে ক্লাস বন্ধ থাকলেও | অফিস খােলা থাকবে। তাই শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে। যাবেন। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা চলাচল করবে। পাশাপাশি শিশুদের টিকাদান কার্যক্রমও এই সময়ে চুলবে। স্কুল বন্ধের সুফল যাতে পাওয়া যায়, সে লক্ষ্যে শিশুদের বাসায় রাখার ওপর গুরুত্বারােপ করে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং | সেন্টার বন্ধ থাকবে। স্কুল বন্ধের যে নির্দেশনা | পাওয়া গেছে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানাে হবে। নুরুদে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ও বন্ধ থাকবে। এদিকে করােনার উর্বগতিতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা | বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে খােলা থাকবে ঢাবির সব আবাসিক হল। সেশনজট নিরসনে প্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস চলবে অনলাইনে, সীমিতপরিসরে খােলা থাকবে প্রশাসনিক কার্যালয়। শুক্রবার দুপুরে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা | বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাে.
আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন,
আমাদের শিক্ষার্থীরা
| যে যেখানে আছে সেখানেই যেন নিরাপদ থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করে। ক্লাস অনলাইনে চলবে। সীমিত পরিসরে (৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত) অফিস খােলা রাখা হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়ে সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযােগ বিভাগ থেকে পাঠানাে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে সভা, সমাবেশ ও জনসমাগম না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরােধ জানানাে হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও (জবি) সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘােষণা করা হয়েছে। তবে
অনলাইনে পাঠদান চলবে বলে জানিয়েছেন | বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক। সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে সব ধরনের ক্লাস বন্ধ ও পরীক্ষা স্থগিত করেছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে খােলা থাকবে আবাসিক হল। করােনা প্রাদুর্ভাবে জারিকৃত সরকারি প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে আবাসিক হল খােলা রেখে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।
থাকবে আবাসিক হল। করােনা প্রাদুর্ভাবে জারিকৃত সরকারি প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে আবাসিক হল খােলা রেখে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ। এই সময়ে ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ ও বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা ও কার্যকরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে যুগান্তরকে জানান রাবির জনসংযােগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা মােতাবেক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত এসব পরীক্ষার দিনক্ষণ পরবর্তীতে জানানাে হবে বলে বলে | জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযােগ দপ্তরের
পরিচালক মাে. আতাউর রহমান। এদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্নাতক শ্রেণির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, টার্ম-১ এর ক্লাস অনলাইনে আজ থেকে শুরু হবে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানাে হয়েছে। এদিকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের সকল পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।