রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (ইংরেজি: Rooppur Nuclear Power Plant)
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (ইংরেজি: Rooppur Nuclear Power Plant) হচ্ছে ২ হাজার ৪ শত মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যা বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহায়ক প্রকল্পের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণসহ অত্যাধুনিক বাসস্থান গড়ে তোলা হয়েছিল।১৯৭১ সালের পরেই অর্থের অভাবে পরিত্যক্ত হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।
★★রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র★★
১৷ মূল কাজের নির্মাণ পর্ব শুরু: ৩০/১১/২০১৭,
২৷ মোট সময় লাগবে : ৬৬ মাস,
৩৷ ঠিকাদারি কোম্পানি: রাশিয়ার "অ্যাটমস্ট্রয়েটপোর্ট"
৪৷ উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ: ১২০০ মেগাওয়াট
৫৷ পারমানবিক ক্লাবের: ৩২ তম দেশ বাংলাদেশ (এশিয়ার মধ্যে ৬ষ্ঠ, সার্কের মধ্যে ৩য়)
৬৷ চুল্লির নাম: ভিভিইআর ১২০০
৭৷ প্রকল্প প্রথম শুরু: ১৯৬১-৬২ সালে
৮৷ বিশ্বে মোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি : ৩২ টি দেশে (৩২ তম বাংলাদেশ)
৯৷ এখান থেকে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের পরিমাণ: ৩৯২ গিগাওয়াট
১০৷ রাশিয়ার সংগে চুক্তিনামা: ০২/১১/২০১১ সালে
১১৷ মূল নির্মাণ শেষ হবে: ২০২৩ সালের মে-জুনে (প্রথম ইউনিটের), দ্বিতীয় ইউনিটের তার পরের বছর।
বাংলাদেশের
রাজধানী শহর ঢাকা থেকে
২'শ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার
অন্তর্গত পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর
গ্রামে নির্মিত হবে রূপপুর পারমাণবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
পারমাণবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের প্রথম প্রস্তাব করা
হয় ১৯৬১ সালে পাকিস্তান
আমলে। এ
সময় তৎকালিন সরকার ২৫৩ দশমিক
৯০ একর জমি বরাদ্দ
দেয়। ঐ
সরকার বেশকিছু পর্যালোচনার ভিত্তিতে ১৯৬৩ সালে পাবনার
রূপপুরে ৭০ মেগাওয়াটের পারমাণবিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের অনুমোদন দেয়। ১৯৬৪
এবং ১৯৬৬ সালে বিদ্যুৎ
কেন্দ্র বিষয়ে আলোচনা হয়
কানাডিয়ান সরকারের সাথে যা পরবর্তি
কয়েক বছর সুইডিশ সরকার
এবং নরওয়েজিয়ান সরকারের সাথেও আলোচনা চলতে
থাকে, কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের
বাস্তব কোন অগ্রগতি হয়নি। ১৯৬৪
সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
স্থাপনের জন্য সকল যন্ত্রপাতি
বাংলাদেশের উদ্দেশে জাহাজে করে পাঠানো
হয়েছিল। কিন্তু
সেই জাহাজ পাকিস্তান (তৎকালীন
পশ্চিম পাকিস্তান) তাদের সুবিধার কথা
বিবেচনা করে তা চট্টগ্রাম
বন্দরে না এনে করাচিতে
নিয়ে যায়।[৬]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৪ সালে
সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে পারমাণবিক বিদ্যুৎ
কেন্দ্র বিষয়ে আলোচনা হলেও
কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ
২০০৯ সালের বাংলাদেশ সরকার
পুনরায় রাশিয়ার সাথে বিদ্যুৎ কেন্দ্র
নির্মানের আলোচনা শুরু করে
এবং একই বছরের ১৩ই
ফেব্রুয়ারি দুই দেশের মধ্যে
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক
বা MOU (Memorendum of
Understanding) স্বাক্ষরিত
হয়। [৭][৮][৯][১০][১১] তবে বাস্তবে
রূপ দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের
উদ্যোগে ২০১০ সালের ২১
মে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ও
রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে পরমাণু শক্তির
শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিষয়ক একটি Framework আরেকটি
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় মস্কোতে।
যার ফলশ্রুতিতে ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫
সালে পাবনার রূপপুরে দুই
হাজার চারশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য রাশিয়ার
এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের
সঙ্গে চুক্তি সই করে
বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি
বাস্তবায়নের সময়কাল ধরা হয়েছে সাত
বছর। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির
২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট
এবং ২০২৪ সালের অক্টোবরে
দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদকাল হবে ষাট বছর
ধরে।[৬]
No comments:
Post a Comment